Headlines
Loading...
দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গী শ্মশানকালী মায়ের আবির্ভাব উৎসব ও অধিষ্ঠান তিথি, ভক্তের ঢল

দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গী শ্মশানকালী মায়ের আবির্ভাব উৎসব ও অধিষ্ঠান তিথি, ভক্তের ঢল

 


নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুর : কথায় আছে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন। এই পার্বনের মধ্যে অন্যতম হল মা কালীর পুজো। দেবী বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পূজিত হন। ভারতের সাধন মার্গের অন্যতম শক্তিস্থান হিসেবে আজও বিশ্বব্যাপী পরিচিতি দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গী শ্মশানকালী মন্দিরের। ঐতিহ্য মেনে যুগ যুগ ধরে এখানে আজও মহা ধুমধাম করে পুজোর আয়োজন করা হয়। শনিবার ভিড়িঙ্গী শ্মশানকালী মায়ের আবির্ভাব উৎসব ও অধিষ্ঠান তিথি।


 এই উপলক্ষে বিপুল ভক্ত সমাগম এখানে। ঐতিহ্য মেনে এদিন মধ্য রাতে পুজো শুরুর আয়োজন করা হয়েছে। দেবী এখানে সদানন্দময়ী মা। পূজো উপলক্ষে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এবং ভীড় সামলাতে নামানো হয়েছে পুলিশ ও কম্ব্যাট ফোর্স। পূজা উপলক্ষে দুর্গাপুর নগর প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।


এই মন দিয়ে সংক্রান্ত ইতিহাস ঘেটে যায়, ১২২১ বঙ্গাব্দে জঙ্গলে ঘেরা শ্মশানে তালপাতার ছাউনি দিয়ে মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন মহাতন্ত্রসাধক অক্ষয় কুমার রায়। পঞ্চমুখী আসন প্রতিষ্ঠিত হয় তুলসী দাস গোসাইজির নির্দেশ অনুসারে। কথিত আছে অক্ষয় কুমার প্রতিদিন যখন মন্দির থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরতেন তখন দুটি শৃগাল তার অনুগমন করত। শোনা যায় পরবর্তীকালে কামরূপ কামাখ্যা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মহাযোগী তন্ত্রসাধকরা এখানে এসে সিদ্ধি লাভ করেছেন। শুধু তাই নয় এই মন্দিরে এসে সাধনলীলা প্রকট করেন স্বামী অচ্যুতানন্দ সরস্বতীর মতো তপস্বীরাও। 


এই মন্দির ঘিরে আজও নানা অলৌকিক ঘটনা ঘটে চলে। জানা যায়, প্রতিমা পরিবর্তনের সময় মন্দির প্রাঙ্গণে প্রথিত ত্রিশূলটি অদ্ভুতভাবে আন্দোলিত হতে থাকে। যার কোনও ব্যাখ্যা আজও পাওয়া যায়নি। এমনই লীলা মায়ের। আর মায়ের লীলার টানে আজও দূর দুরন্ত থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্ত ছুটে আসেন এই মন্দিরে। পুজো উপলক্ষে ভক্তের ঢল নামে। প্রতিবছরই বাংলা বিহার ঝাড়খন্ড সহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে উপচে পড়ে ভক্তর সংখ্যা। এবার তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ভক্তদের বিশ্বাস, এখানে এলে মা কাউকে খালি হাতে ফেরার না। সকল ভক্তের মনবাঞ্ছা পূরণ করেন মা ভিরিঙ্গি কালী। শুক্রবার রাত থেকেই ভীড় জমতে শুরু হয় মন্দির চত্তরে। এদিন রাত থেকেই হবে ভোগ বিতরন।