
বাংলার স্বপ্নময়ের জন্য রইলো সাহিত্য জগতের সাহিত্য একাডেমি, সঙ্গে সাহিত্য একাডেমি থাকলো আরো এক বঙ্গসন্তানের হাতে
বিশেষ প্রতিবেদন : ১৯৫১ তে উত্তর কলকাতায় জন্ম সাহিত্যিক স্বপ্নময় চক্রবর্তীর। অসীম দারিদ্র্যতার সঙ্গে লড়াই করে, সাহিত্যচর্চা শুরু।সাহিত্যকে আঁকড়ে ধরে পরবর্তী পথে এগোতে চেয়েছিলেন তিনি।
বাংলা সাহিত্যের প্রতিটি আনাচে কানাচে তাঁর অবাধ যাতায়াত। প্রথম জীবনে লিখতেন ছোটগল্প। তারপর, উপন্যাস লেখার সূচনা করেন। সমাজের সমস্ত নির্মমতা, রূপান্তরকামী মানুষ, নমঃশূদ্রদের জীবন, উদ্বাস্তুদের দারিদ্র্যতার ছবি বারবার কলমের আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি।
বিশিষ্ট চিত্রপরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের অনুরোধে স্বপ্নময় চক্রবর্তী লিখেছেন "হলদে গোলাপ"। ২০১৫ সালে সেটির জন্য তিনি আনন্দ পুরস্কারে সম্মানিত হন। তাঁর লেখা বিখ্যাত উপন্যাস "চতুষ্পাঠী"-র পরবর্তী কাহিনী বলে "জলের উপর পানি" উপন্যাসটি। বইটি প্রসঙ্গে স্রষ্টা স্বপ্নময় চক্রবর্তী বলেছেন,"বইটি খুব খেটেখুটে বানিয়েছিলাম। দেশভাগের পরবর্তী সময় নিয়ে উপন্যাসটি লেখা। কলোনী জীবনের কথা রয়েছে এতে। সঙ্গে সংস্কৃতির সমন্বয় ও রয়েছে।" এই"জলের উপর পানি" উপন্যাসের জন্যই, শেষ পর্যন্ত তাঁর হাতে উঠে এলো সাহিত্য একাডেমি।
পুরষ্কার ঘোষণার পর সাহিত্যিক বলেন,"খবরটা সাহিত্য একাডেমির থেকে নয়, প্রথমে এক বন্ধুর থেকে জানতে পারি। তারপর, সাহিত্য একাডেমির তরফ থেকে সুনিশ্চিত করে জানানো হয়েছে।" তিনি আরও জানিয়েছেন,"পুরস্কার পেয়ে ভালোই লাগছে। তবে, পুরস্কার না পেলে বোধহয় লেখার ইচ্ছেটা আরো বেড়ে যেতে থাকে দিনদিন। গল্প ঘটনার প্রেক্ষিতে নয়, বরং অনুভবের প্রেক্ষিতে গল্প ফুটে ওঠে। লেখা ভালো না হলে ছাপাবো না, এই দায়িত্ববোধ লেখকের থাকা উচিৎ।"
বুধবার ২৪টি ভাষায় পুরস্কারপ্রাপকদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। মাধব কৌশিকের নেতৃত্বে, একটি এক্সিকিউটিভ বোর্ড এই পুরস্কারপ্রাপকদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছেন। রাজ্যকে গৌরবোজ্জ্বল করেছেন আরো এক বঙ্গসন্তান। সাঁওতালি ভাষায় "জবা বাহা" বইয়ের কারণে মেদিনীপুরের শিক্ষক টুরিয়াচাঁদ বাস্কেও পাবেন সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার। পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লক্ষ টাকা। ২০২৪ এর ১২ই মার্চ দিল্লিতে, একাডেমির সভাপতি মাধব কৌশিক পুরস্কার তুলে দেবেন প্রাপকদের হাতে।