
সোমনাথ নায়েক, দুর্গাপুর : রঙ, ছন্দ আর সংস্কৃতির অপূর্ব মেলবন্ধনে এক অসাধারণ আবহ তৈরি হল দুর্গাপুরের এনএসএইচএম নলেজ ক্যাম্পাসে। "আঙ্গন – সৃজনশীল ও পারফর্মিং আর্টস সেন্টার" ফিরে এল নতুন প্রত্যয় নিয়ে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই পরিবেশিত হয় একটি ঐশ্বরিক গণেশ বন্দনা – জ্ঞানের দেবতার উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, যা নতুন সূচনার আগমনী বার্তা দেয়।
এরপর প্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে আলো ছড়িয়ে পড়ে মঞ্চ থেকে মনে, প্রতীক হয়ে দাঁড়ায় অজ্ঞতার ওপর জ্ঞানের বিজয়ের।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুরের মাননীয় মেয়র অনিন্দিতা মুখার্জি, যাঁর উপস্থিতি পুরো কর্মসূচিকে আরও গৌরবান্বিত করে তোলে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খ্যাতনামা ভরতনাট্যম নৃত্যশিল্পী ও গুণী শিক্ষিকা শ্রীমতী সোমা ভৌমিক, যিনি তাঁর শিল্পীসত্তা ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করেন।
আয়োজনে নেতৃত্ব দেন ড. অলোক সৎসঙ্গী, এনএসএইচএম দুর্গাপুর ক্যাম্পাসের পরিচালক এবং সন্দীপ ব্যানার্জী, প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অগ্রগতি কর্মকর্তা। তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গিতে উঠে আসে একাডেমিক শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিকাশের একত্র অভিযাত্রার গুরুত্ব।
"আঙ্গন"-এর প্রধান ড. কোয়েল মিশ্র তাঁর অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ বক্তব্যে তুলে ধরেন সৃজনশীল শিল্পকলার ভূমিকা—যা ভবিষ্যতের নেতৃত্ব গঠনে আবেগ, সামাজিকতা ও সংস্কৃতিচেতনার ভিত গড়ে তোলে।
অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল শিক্ষার্থী ও দলের সদস্যদের পরিবেশিত একাধিক নান্দনিক পরিবেশনা:
🔹 রাধা-কৃষ্ণের চিরন্তন প্রেমকাহিনী – অভিব্যক্তিমূলক নৃত্য ও আবেগঘন গল্প বলার এক অপূর্ব উপস্থাপনা।
🔹 বৃষ্টির ছন্দ – সঙ্গীত, কবিতা ও নৃত্যের ছন্দে বর্ষার রূপ ধরা পড়ে এক প্রাণবন্ত রূপে।
🔹 তিল্লানা – অনুষ্ঠানের সমাপ্তিতে পরিবেশিত এই শাস্ত্রীয় নৃত্যরূপে ছিলেন শ্রীমতী রিয়া চ্যাটার্জি, যাঁর নিখুঁত ছন্দ ও শৈল্পিক দক্ষতা উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করে তোলে।
এই পুনঃপ্রবর্তন শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়, বরং এক নতুন সাংস্কৃতিক যাত্রার সূচনা। আঙ্গন এখন শুধুই একটি পারফর্মিং আর্টস সেন্টার নয়, বরং এক সৃজনশীল আন্দোলনের মঞ্চ—যেখানে ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের অন্তর্নিহিত প্রতিভা আবিষ্কার ও প্রকাশের সুযোগ পাবে।