
international
ক্যালেন্ডার এ ৩০ শে ফেব্রুয়ারি! কিভাবে এসেছিলো এই তারিখ? পাতা উল্টে ফিরে দেখা ঐতিহাসিক দিনটির কাহিনী ।
ইনফর্ম দুর্গাপুর ডিজিটাল ডেস্ক : আমরা জানি, সাধারণত এক বছরে 365 দিন থাকে। কিন্তু কিছু বিশেষ বছরে, যেগুলোকে "অধিবর্ষ" বা "লিপ ইয়ার" বলা হয়, 366 দিন থাকে।
কারণ পৃথিবী সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরতে 365 দিন, 5 ঘণ্টা, 48 মিনিট এবং 46 সেকেন্ড সময় নেয়। আমরা 365 দিন হিসাব করলে বাকি সময় জমা হয়। এই জমা সময়কে সমন্বয় করার জন্য প্রতি চার বছর পর পর 365 দিনের সাথে একটি অতিরিক্ত দিন যোগ করা হয়।
এই অতিরিক্ত দিনটি ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে যোগ করা হয়। ফলে অধিবর্ষে ফেব্রুয়ারি মাস হয় 29 দিনের।
কিন্তু ইতিহাসে শুধুমাত্র একবার এমন ঘটনা ঘটেছিল যখন ক্যালেন্ডারে 30শে ফেব্রুয়ারি তারিখটি দেখা গিয়েছিল।
1700 সালের শুরুতে, সুইডেন জুলিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার করত। এই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, প্রতি চার বছর পর পর লিপ ইয়ার পালন করা হত। কিন্তু জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে প্রতি বছরে 11 মিনিট 14 সেকেন্ড বেশি হিসাব করা হত। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে ক্যালেন্ডারের সাথে ঋতুর অমিল দেখা দিতে শুরু করে।
এই সমস্যা সমাধানের জন্য, 1582 সালে পোপ গ্রেগরি XIII গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করেন। এই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, 400 বছরের মধ্যে 97 টি লিপ ইয়ার হবে।
সুইডেন 1700 সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে। কিন্তু তারা জুলিয়ান ক্যালেন্ডার থেকে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে সরাসরি রূপান্তর করেনি। পরিবর্তে, তারা ধীরে ধীরে 11 দিন বাদ দিয়ে ক্যালেন্ডারের সাথে ঋতুর সমন্বয় করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এই প্রক্রিয়া চলাকালীন, 1712 সালে সুইডেন একটি "ডাবল লিপ ইয়ার" পালন করে। এই বছর তারা 29শে ফেব্রুয়ারির পর 30শে ফেব্রুয়ারি একটি অতিরিক্ত দিন যোগ করে। এর ফলে 1712 সালে সুইডেনের ক্যালেন্ডারে মোট 366 দিন ছিল।
এই ঘটনার পর, সুইডেন 1753 সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের সাথে সম্পূর্ণভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
30শে ফেব্রুয়ারি একটি বিরল এবং অনন্য তারিখ। ইতিহাসে শুধুমাত্র একবারই এই তারিখটি ক্যালেন্ডারে দেখা গিয়েছিল। সুইডেনের ডাবল লিপ ইয়ার এই বিরল ঘটনার জন্য দায়ী।