
‘ভারতীয় টেস্ট দলে তোমাকে আর প্রয়োজন নেই’, ঋদ্ধিকে জানিয়ে দিল টিম ম্যানেজমেন্ট
ঘাড়ে ও কাঁধে চোট নিয়েও দেশের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছিলেন ঋদ্ধি৷ অথচ তাঁকে সরানোর রাস্তা পরিষ্কার৷ প্রথম কিপার হিসাবে ঋষভ পন্থের জায়গা পাকা৷ অথচ একের পর পর এক দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলে আউট হওয়া ঋষভের বিকল্প হিসাবে ঋদ্ধির কথা একবারও ভাবা হল না৷ খোদ সুনীল গাওয়াস্কর ঋষভের সমালোচনা করেছেন৷ এর পরেও তাঁকে বোর্ডে আড়াল করার লোকের অভাব হয়নি৷ অন্যদিকে, রাহুল দ্রাবিড়ের দল পরিচালন সমিতি তুলে আনতে চাইছে দক্ষিণাঞ্চলের কিপার কে এস ভরতকে। শোনা যাচ্ছে, টিম ম্যানেজমেন্ট নাকি ঋদ্ধিকে জানিয়ে দিয়েছে, তাঁকে আর ভবিষ্যতের জন্য ভাবা হচ্ছে না৷ যা এক কথায় নজিরবিহীন৷
জাতীয় নির্বাচকরা সাধারণত ১৫-১৬ জনের একটা টিম ঠিক করে৷ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও ঋদ্ধিমানকে টিমে রেখেছিলেন তাঁরা। কিন্তু ঋদ্ধিকে কোনও ম্যাচ খেলানো হয়নি৷ তাহলে কীসের ভিত্তিতে তাঁকে বাদ দেওয়া হল? সেই প্রশ্ন উঠেছে৷ বয়সই যদি ফ্যাক্টর হয়ে থাকে তাহলে শিখর ধাওয়ানের বয়স ৩৬৷ তাঁকে কেন ওয়ান ডে খেলানো হচ্ছে? ওয়ান ডে অনেক বেশি তরুণ প্রজন্মের খেলা বলে মনে করা হয়৷ অশ্বিনের বয়সও ৩৭৷
প্রথম চাঞ্চল্যটা ছড়িয়েছিল গতকাল সন্ধেয় রনজি ট্রফির টিম থেকে ঋদ্ধিমান বাদ পড়াকে কেন্দ্র করে। চেতেশ্বর পূজারা, অজিঙ্ক রাহানে, মনোজ তিওয়ারি-র মতো ক্রিকেটারটা সকলেই রনজি খেলছেন। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে তালিকা থেকে বাদ ঋদ্ধিমান। তাঁর জায়গায় দলে স্থান পেয়েছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের রবি কুমার। অথচ বাদ ঋদ্ধি৷ সিএবির তরফে অবশ্য বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত কারণেই রনজি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন ঋদ্ধিমান। এর নেপথ্য কাহিনীটা তখনও কেউ জানত না৷ টিমে থাকবেন না জেনেই নাকি নিজেকে রনজি থেকে সরিয়ে নিয়েছেন বাংলার এই কিপার। ঋদ্ধিমানের হয়ে সৌরভ কিছু বলেন কিনা, সেটাই দেখার অপেক্ষা৷