Headlines
Loading...
অবশেষে বহু প্রত্যাশিত গর্ভগৃহের শুভ উদ্বোধন, থাকছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ ব্যবস্থাপনা। প্রধানমন্ত্রীর খালি পায়ে ৫০০ মিটার পথ হেটে প্রভুর গর্ভগৃহ প্রবেশ  পরিকল্পনা

অবশেষে বহু প্রত্যাশিত গর্ভগৃহের শুভ উদ্বোধন, থাকছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ ব্যবস্থাপনা। প্রধানমন্ত্রীর খালি পায়ে ৫০০ মিটার পথ হেটে প্রভুর গর্ভগৃহ প্রবেশ পরিকল্পনা

 


বিশেষ প্রতিবেদন : ইতিমধ্যেই নতুন বছরের আগমনের উল্লাস কড়া নেড়েছে সকলের মনে, আর তারই মধ্যে দেশবাসীর নতুন বছরের উপড়ি পাওনার দিন গোনা শুরু। লাখো ভক্তের সেই প্রতীক্ষিত রাম মন্দির এর শুভ উদ্বোধন ও ভগবান শ্রী রামের বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা দিবস ঘোষিত হলো ২২শে জানুয়ারি, ২০২৪।


             দেশ তথা বিদেশ, লক্ষ্য লক্ষ্য ভক্তের আগমনে মন্দির প্রাঙ্গণে ভিড় উপচে পড়বে তা আশা করাই যায়। ভক্তের সমাগম যাতে সুশৃঙ্খল ভাবে হতে পারে, সেই কারণেই ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি তুঙ্গে। আর সেকারণেই অযোধ্যায় পরিবহণ ব্যবস্থার সুরক্ষায় ভীষণ কর্মতৎপরতা দেখাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। রেলপথ, জলপথ সকলকে একত্রিত করে নতুন পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই, যাত্রীদের যাতে অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয়, তার উদ্দেশ্যে অযোধ্যা স্টেশন ও তার পার্শ্ববর্তী স্টেশন এর জন্য তৈরি হয়েছে উপযুক্ত বাজেট ও স্টেশন পরিকল্পনা।


 ইতিমধ্যেই অযোধ্যা স্টেশন মেরামতির কাজ শুরু হয়ে গেছে। আনুমানিক আশা করা যাচ্ছে প্রতিদিন ৫০,০০০ ভক্তের যাতায়াতের সুযোগ করে দেওয়া যায়, সেদিকে বিশেষ ব্যবস্থা তো থাকবেই। তার ই সাথে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে অযোধ্যা গামী প্রায় ১০০০ টি ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। জানা গেছে, অযোধ্যা স্টেশনে থাকছে মোট ছয়টি প্ল্যাটফর্ম ও স্টেশনের দ্বারে থাকছে ভগবান শ্রী রামের মূর্তি। স্টেশনের মধ্যে যাতায়াতের সুবিধার্থে থাকছে ১৪টি এস্ক্যালেটর ও বেশ কিছু লিফ্ট। সঙ্গে ব্যবস্থা থাকছে ক্লক রুম, রেটায়ারিং ও ডরমেটরি রুম। পুজোর দোকান, পুজোর সামগ্রী, খাবারের ব্যবস্থাও করা হবে স্টেশন চত্বরে। 


রামমন্দির উদ্বোধনের দিন থেকে আগামী ১০০ দিন সর্বমোট এক হাজারটি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। মানুষের চাহিদা অনুযায়ী আরো ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও হতে পারে। অযোধ্যায় আসার জন্য, দিল্লি- মুম্বাই- কলকাতা- পুনে - নাগপুর- জম্মু সহ আরো বিভিন্ন স্টেশন থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত ট্রেন চলবে। IRCTC থেকে জানানো হয়েছে, বহু মানুষের সমাগম হবে বলে, ক্যাটারিং ব্যবস্থার দিকেও বিশেষ মনোনিবেশ করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা মানুষের কাছে যাতে খাবার পৌঁছানোর ব্যবস্থাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। তাছাড়াও, ভ্রমনার্থীগণ সরযূ নদী প্রত্যক্ষ করতে এসেও যাতে কোনো সমস্যার মুখোমুখি না হন, তার জন্যও থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। ইলেকট্রিক ক্যাটামারানের এর ব্যবস্থা থাকছে। প্রতিটি ক্যাটামারানে বিনা অসুবিধায় ১০০ জন মানুষ প্রতিবারে চাপতে পারবে।


                 এরই মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ ব্যক্তিদের নিমন্ত্রণ পত্র প্রেরণ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ১০ লক্ষ রামভক্ত পরিবারকে নিমন্ত্রণ করা হবে মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন। শুধু তাই নয়, ৫০০ মিটার পথ খালি পায়ে হেঁটে শ্রী রাম এর মূর্তি অস্থায়ী মন্দির থেকে রামমন্দিরের গর্ভগৃহে নিয়ে যাবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ।