
চিকিৎসার অবনতি , পরপর ৭ দিনের মাথায় দুই প্রস্তুতির মৃত্যু ঘিরে অবহেলার শিকার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে
অপরাজিতা অধিকারী, দুর্গাপুর : কয়েকদিন আগেই বিধান নগর হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর মৃত্যু হয়েছিল দুর্গাপুর ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের শিমুলতলার বাসিন্দা ১৯ বছর বয়সী গৃহবধূ সোনী তুরী নামে এক প্রসূতি।
ওই গরিব সোনীর পরিবারের মানুষ চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এনেছিল বিধান নগর মহকুমা হাসপাতালের বিরুদ্ধে। আবারও ঠিক সাত দিনের মাথায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি মহকুমা হাসপাতালে।
আগের ঘটনায় উত্তেজনা না কাটতেই আবার প্রসুতিরমৃত্যু, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে চিকিৎসাতে কিসের এতো অবহেলা। দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর বি জন এর নাগার্জুন এর বস্তির বাসিন্দা ২৭ বছরের অভাবী চুমকি বাউরী সন্তান প্রসবের জন্য বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়।
চিকিৎসাতে সিজার করতে হয় এবং কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। নিয়ম মত চুমকি দেবী ও সদ্যোজাত বাচ্চাকে বেডে দেওয়া হয়। এই পর্যন্ত ঠিকঠাক ছিল কিন্তু রাতেই ফোন আসে পরিবারের কাছে হাসপাতাল থেকে, চুমকি দেবীর অর্থাৎ প্রসুতির অবস্থা ভালো না, শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। এবং চিকিৎসা চলাকালীন শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয়।
মর্মান্তিক খবর শোনার পর পরিবারের লোকেরা ও আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার মানুষ চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ এ ফেটে পড়েন, হাসপাতাল চত্বরে ,পুলিশ আসে, পুলিশকে ঘিরে অভিযোগ কারীরা বিক্ষোভ দেখায় সেই সময় পুলিশ তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেন প্রসূতির পরিবার।