
বিশেষ প্রতিবেদন : ২০২৩ সালে "টাইমস" প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখনো পর্যন্ত সমগ্র বিশ্বে দীর্ঘতম নারী পরিচালিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে রবিবার দিন প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য ভোট গ্রহণ করা হয়েছে এবং এই ভোটে আওয়ামী লীগ যে জিতবে সেই সম্পর্কেও জনগণ সুনিশ্চিত ছিলেন। অপেক্ষা ছিল শুধুই সময়ের। শেখ হাসিনার প্রতিদ্বন্দ্বী BNP দল বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এ বছর ভোট বয়কটের দাবি জানিয়েছিল এবং সেই কারণে ৪০ শতাংশ ভোট দান করেছেন জনগণ। ভোট কম হলেও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে, এবারও জয়লাভ করেছেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ।বাংলাদেশে ৩০০ টির মধ্যে ২৯৯ টি আসনে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ-৩ কেন্দ্র থেকেও রেকর্ড ভোটে জয়লাভ করেছেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের দীপু মণি, ফিরদৌস এবং সাকিব হাসান নিজ নিজ কেন্দ্র থেকে রেকর্ড ভোটে জয়লাভ করেছেন। নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বী NPP দলের শেখ আবুল কালাম পেয়েছেন মোট ৪৬০ টি ভোট। তাই সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে শেষ হাসি হাসলেন শেখ হাসিনা।
ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে মোট ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটারের একটি দীর্ঘ সীমানা। ভারতবর্ষের পূর্ব দিকের রাজ্যগুলির সঙ্গে বাংলাদেশের একটি সুদীর্ঘ পরিসরের সীমানা রয়েছে। তাই , দুটি দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা এবং সামরিক ব্যবস্থাপনা পরস্পরের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।সীমান্তের এই সুদীর্ঘ অরক্ষিত পরিসর, যেকোনো ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ সাধনের জন্য উপযোগী। তাছাড়াও, সন্ত্রাসবাদ তো রয়েছেই। তবে কিছু কিছু গ্রাম,ঘর এর মধ্য দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের সীমানা চলে যাওয়ায়, ভারতের সৈন্য বাহিনীর পক্ষে একটু কঠিন হয়ে দাঁড়ায় কঠোরভাবে সীমান্ত পাহারা দেওয়া। কিন্তু শেখ হাসিনা কড়া হাতে সেই সমস্ত অনৈতিকতা, অবৈধ আচরণ এবং কার্যকলাপ দমন করতে সক্ষম হয়েছেন যা ভারতের পক্ষে লাভদায়ী। এদিকে ২০১৩ সালে, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে সীমান্ত নিরাপত্তায় উদ্বেগ মোকাবিলার ক্ষেত্রে। বাংলাদেশে খালেদা জিয়া সরকারের আমলে সন্ত্রাসবাদ একটি অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ এর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভারতের সীমান্ত রক্ষার ক্ষেত্রে।
বাংলাদেশের শেখ হাসিনার সরকার গঠন হওয়ার ফলে সর্বতোভাবে ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে যে পোয়াবারো হয়েছে তা বলাই বাহুল্য। এইবছর, সর্বমোট পঞ্চম বারের জন্য শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য পুনরায় শপথ গ্রহণ করতে চলেছেন।