Headlines
Loading...
আপনি কী জানেন অযোধ্যার রাম মন্দিরের শ্রী রামের এই ১০টি বৈশিষ্ট্য, জানলে আপনিও অবাক হবেন

আপনি কী জানেন অযোধ্যার রাম মন্দিরের শ্রী রামের এই ১০টি বৈশিষ্ট্য, জানলে আপনিও অবাক হবেন

 

নিজস্ব প্রতিবেদন : অযোধ্যায় ২২শে জানুয়ারী স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত দিয়ে শ্রী রামের বাল্যরূপ ও যোদ্ধারূপের প্রাণ-প্রতিষ্ঠা হয়েছে। 


☆দেখা গেছে, ভগবান শ্রী রামের মূর্তিটি কৃষ্ণ বর্ণের। নেপাল থেকে ভগবান শ্রী রামের যে শালগ্রাম শিলা পাওয়া গিয়েছিল, সেটি থেকে মূর্তি তৈরি করার ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত পাথর ভেঙে পড়ছিল আর তার ফলে মূর্তি তৈরি করা এক প্রকার অসম্ভব হয়ে পড়ছিল । তবে,  এখানে আরও একটি প্রশ্ন আসতে পারে, মূর্তিটি কেন সাদাপাথরের করা হলো না?  সেক্ষেত্রে উত্তর দিয়েছেন স্বয়ং মন্দিরের প্রধান আচার্য দুর্গা প্রসাদ গৌতম। তিনি বলেছেন, যদি শ্বেত পাথর দিয়ে মূর্তিটিকে তৈরি করা হতো, তবে সেক্ষেত্রে মূর্তিটিকে প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হতো এবং তার পাশাপাশি মূর্তির জৌলুস বজায় রাখার জন্য, কোনো না কোনো রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার করতেই হত। কিন্তু, বহু ভক্তরা এখানে প্রতিদিন ভগবানকে দর্শন করতে আসবেন এবং তাঁরা ভগবানের চরণামৃত গ্রহণ করবেন। সেক্ষেত্রে, যদি তাঁরা ওই রাসায়নিক মিশ্রিত চরণামৃত গ্রহণ করেন, তাহলে সেটি তাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে।  আর সেই কারণে কৃষ্ণবর্ণের মূর্তি তৈরি করা হয়েছে কৃষ্ণ পাথর দিয়ে। 


☆এর পাশাপাশি, শ্রী রামের আসল শালগ্রাম শিলাটিকেও মন্দিরের মধ্যে অতীব যত্ন সহকারে রেখে দেওয়া হয়েছে।


☆শ্রী রামের যোদ্ধামূর্তিটিকে তৈরি করা হয়েছে এমন ভাবে যাতে তাঁর ডান হাতটি দিয়ে তিনি ভক্তদেরকে আশীর্বাদ করছেন বলে মনে হবে এবং তাঁর বাম হাতটিকে ধনুক ধরার উপযোগী করে গড়া হয়েছে। 


☆তাছাড়া হিন্দু মত অনুসারে ভগবান বিষ্ণুর যে ১০ টি অবতার রয়েছে সেই প্রতিটি অবতারের ছবি এবং ভাস্কর্য রয়েছে মন্দির এর গর্ভগৃহের মধ্যে। 


☆ভগবান শ্রী রামের বাম চরণে রয়েছে গরুড়-এর একটি মূর্তি এবং দক্ষিণ চরণে রয়েছে শ্রী মহাবলী হনুমানের মূর্তি।


☆জয় শ্রী রামের যোদ্ধা মূর্তিটির আনুমানিক উচ্চতা প্রায় ৫১ ফুট। রামের বাল্য মূর্তিটির দৈর্ঘ্য ৪.২৫ ফুট এবং প্রস্থ হচ্ছে ৩ ফুট এবং উচ্চতা ৫-৬ ফুট। 


☆শ্রী রামের এই মূর্তিটির শিখরে রয়েছে এমন একটি যন্ত্র ,যেটি প্রত্যেক বছর রামনবমীর দিন সূর্যের অবস্থান অনুযায়ী, সূর্যরশ্মিকে প্রতিফলিত করবে শ্রী রামের সম্পূর্ণ মস্তকে, যা একটি ঐশ্বরিক দৃশ্য রূপে প্রতিভাত হবে।


☆ রামের মূর্তিটির নকশা তৈরি করেছেন মুম্বাইয়ের বিখ্যাত নকশাকার বাসুদেব কামাঠ এবং মূর্তিটি তৈরি করেছেন অরুণ যোগীরাজ। 


☆ভগবান শ্রী রামের বাল্য মূর্তিটি তৈরি হয়েছে রাজস্থানের মারকানা মার্বেল দিয়ে।


☆বিখ্যাত কোম্পানি লার্সেন অ্যান্ড টুবরো এই  রাম মন্দির প্রতিষ্ঠায় সম্পূর্ণভাবে যুক্ত ছিলেন।